রজনীকান্তের প্রকৃত নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। মারাঠি এর পরিবারে জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর। তার জীবনের শুরুটা এখনকার মতো মসৃণ ছিল না মোটেই। জীবিকার জন্য কুলিগিরি করেছেন, হয়েছেন বাসের কন্ডাক্টর। ১৯৭৫ সালে ‘অপূর্ব রাগানলাল’ সিনেমায় আরেক কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসানের বিরপীতে নতুন মুখ হয়ে আসেন তিনি
রজনীকান্ত মানেই সিনেমা সুপারহিট। তাই তার পেছনে কোটি কোটি রুপি লগ্নি করতে রাজি যে কোনো প্রযোজক। সাড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে ১৭০টির বেশি সিনেমা করা রজনীকান্ত এখন পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা
ব্যতিক্রমী স্টাইলে সংলাপ আউড়ানোয় দর্শকদের আকর্ষেণের কেন্দ্রে রজনীকান্ত। ‘ভায়াথিনাই’ সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে রজনীকান্তের ‘ইধু ইপ্পাদি ইরুক্কু’ (এটা কেমন) এখনও মনে রেখেছেন দর্শকরা। ‘মুরাত্তু কালাই’ সিনেমায় রজনীকান্তে সংলাপ ‘সেভিদুভেন’ (তোমার মাথা আমি কেটে ফেলব) রেগে গেলেই বলেন তামিলরা। বলা হয় ‘শিবাজি’ সিনেমায় দুই সংলাপে রজনীকান্ত পৌঁছে যান অন্যমাত্রায়। যার একটি হলো ‘সুম্মা পেরে কেট্টা আথুরুদুলা’ (আমার নাম ধরে ডাকলে পৃথিবী দু’টুকরো হয়ে যায়)। আর দ্বিতীয়টি হলো ‘কান্না পান্নি থান কুটামা ভারু, আনা সিংঘাম সিঙ্গল থান ভারুম’ (শুয়োরেরা সব সময় দল বেঁধে আসে, কিন্তু বাঘ সব সময়ে একাই হাঁটে)
পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে কুলি, দিনমজুর ও বাস কন্ডাক্টরের মতো কাজও করতে হলেও পাড়ার নাটকে রজনীকান্ত চালিয়ে যেতেন অভিনয়। পরে এক বন্ধুর সহায়তায় মাদ্রাজ ফিল্ম স্কুলে অভিনয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কৃষক, মুটে কিংবা দিনমজুর চরিত্রের পাশাপাশি প্রেমিক রোবট, কিংবা মারকুটে গ্যাংস্টার সব চরিত্রে সমান পারদর্শী তিনি। চিত্রনাট্যকার, প্রয়োজক এবং প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া দক্ষিণের রাজনীতিতে প্রভাবশালী তিনি
বলিউড শাসন করা একজন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন হলেন রজনীকান্তের কাছে বড় অনুপ্রেরণা। বিগ বি’র ১১টি সিনেমার তামিল রিমেকে কাজ করেছেন রজনীকান্ত
রজনীকান্ত এমন একজন অভিনেতা, যাকে নিয়ে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের সিলেবাসে একটি অধ্যায় আছে, যার শিরোনাম ‘ফ্রম বাস কন্ডাক্টর টু সুপারম্যান’