আমরা বেশির ভাগই পুরো জীবনে একটি বাড়ি বা নিদেন পক্ষে একটি ফ্ল্যাট কিনতে পারলেই বর্তে যাই। কারও কারও জীবনের একমাত্র স্বপ্নই থাকে মাথা গোঁজার একটি ঠাঁইয়ের সুব্যবস্থা করা। কিন্তু কয়জন আর আস্ত গ্রাম কিনে ফেলার কথা ভাবে?
যাঁরা ভাবেন, তাঁদের জন্যই এমন সুযোগ মিলছে স্পেনে। সেখানে একটি আস্ত গ্রাম বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন কোটি টাকারও কম।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্পেনের ওই গ্রামে ৪৪টি বাড়ি আছে। আছে একটি হোটেল, একটি চার্চ, স্কুল, একটি সুইমিং পুল। এ ছাড়া গ্রামটিতে নিরাপত্তার কারণে একটি ব্যারাক ভবনও আছে, চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্রামটির নাম সালতো ডি কাস্ত্রো। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই গ্রামে কেউ বসবাস করেন না। এখন পুরো গ্রামটিই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে। গ্রামটি স্পেন ও পর্তুগালের সীমান্ত ঘেঁষা। মাদ্রিদ থেকে মাত্র ৩ ঘন্টা গাড়ি চালালেই পৌঁছানো যাবে এই গ্রামে।
গ্রামটির মূল্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা হয় আড়াই কোটি টাকার কিছু বেশি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের দিকে বর্তমান মালিক পক্ষ গ্রামটি কিনে নিয়েছিলেন একে পর্যটকদের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য। ধারণা করা হয়েছিল, গ্রামটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। আর তাই এখন পুরো গ্রামই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইডিয়ালিসতা নামের সম্পত্তি বেচাকেনার একটি স্প্যানিশ ওয়েবসাইটে গ্রামটির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। বর্তমান মালিক সেখানে বলেছেন, তিনি শহুরে মানুষ এবং গ্রামটির দেখাশোনা করা তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না|আইডিয়ালিসতা জানিয়েছে, পুরো গ্রামটি ব্যবহারের উপযোগী করতে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রয়োজন। গ্রামটিকে লাভজনক করতে প্রায় ২০ লাখ ইউরো দরকার হতে পারে বলে ওয়েবসাইটটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সালতো ডি কাস্ত্রো নামের গ্রামটিতে ১৯৫০-এর দশকে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের আবাসস্থল গড়ে তুলেছিল। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কর্মীরা একে একে চলে গেলে গ্রামটি ক্রমে জনশূন্য হয়ে পড়ে। পরে ১৯৮০-এর দশকে গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
/এ.এস/