ডেস্ক রিপোর্টঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান ইউনেস্কোর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সদর দপ্তর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০শে ফেব্রুয়ারী। ঐ অনুষ্ঠানে নিজেদের পচ্ছন্দমতো গুটি কয়েক প্রবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাদ পড়েছেন বৃহৎ একটি অংশ। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বাংঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চলছে ক্ষোভের ঝড়।
যারাই ঐ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন জামাত ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং রিপুজী ষ্ট্যাটাস পাওয়া। তবে মুল আলোচনা হয় ফ্রান্সের প্রবীন ও আওয়ামীলীগের ত্যাগী এক নেতাকে দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাসিম যখন গেট থেকে বের করে দেয়।
ঐ ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘ দিন ফ্রান্সে বসবাস করছি, দূতাবাসের সাথে আমার বেশ সখ্যতা ছিলো কিন্তু তাদের এই আচরন আমার কাছে মনে হয়েছে যেনো তারা পাকিস্তানের কোন এ্যাজেন্ট হিসাবে এখানে কাজ করছে।
পূর্বের এসমস্ত অনুষ্ঠানে ভীন দেশের অতিথি ও বাংলাদেশী অতিথিরা একসাথে হলে বসলেও এবার বাংলাদেশীদের আলাদা করে দুতলায় বসার স্থান দেয়া হয়েছে এতে অনেকেই মনে করছেন আমন্ত্রণ করে অপমান করা হয়েছে।
বাংলাদেশীরা যেখানে অবস্থান করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িযে পড়া ছবিতে দেখা গেছে পুরো হলই ফাঁকা, শুধুমাত্র সামানের ১/২ সাড়িতে বাংলাদেশীরা বসে আছে।
উল্লেখ্য এই ওয়ালিদ বিন কাশিম দুতাবাসে যোগ দেয়ার পর থেকে রাষ্ট্রদূতকে কন্ট্রোল, কমিউনিটিতে বিবাদ, বৈষম্য এবং একে অপরের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে রেখেছেন তাছাড়া তার জামাত বিনপি প্রীতি নজর কেড়েছে সবার। তিনি নিজেকে অনেক শিক্ষিত দাবি করে ফ্রান্সের বাংলাদেশী কমিউিনিটি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নির্মূল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সাধারন প্রবাসী বাংলাদেশীরা ওয়ালিদ বিন কাশিমের অপসারনের দাবি তুলেন।