বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গুম-গুপ্তহত্যা বন্ধ, মানবাধিকার পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনাল’ (এফআরআই) লং মার্চের আয়োজন করে।

পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত লংমার্চ করে সংগঠনটি। পরে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করে এফআরআই এর নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর একটি চিটিও পাঠানো হয়েছে এফআরআই এর পক্ষ থেকে।

সংগঠনের সভাপতি রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী বুরহান উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মো. শামসুল আলম গোলাপ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক মজলিসে শূরা সদস্য আবদুল্লাহ আল মুনিম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুকুল ও শিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন মৃধা।

লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, চুরি-ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, দুর্নীতি-লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে।অনেক মানুষকে গুম এবং বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

এখন তারা নতুন করে হামলা-মামলা, গ্রেফতার ও গুপ্ত হত্যা করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিরোধীদল নির্মূলে মেতে উঠেছে। বিরোধীদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলার রায় দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ষড়যন্ত্র করছে।জামায়াত এবং বিএনপি ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী শেখ হাসিনার তাবেদার নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না, তারা দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন দেখতে চায় না, তারা অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।

বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, অবিলম্বে তফসিল বাতিল করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, খুনিদের বিচার করতে হবে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনকে আরও বেগবান করে জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানো হবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্হিত ছিলেন এফআরআই এর সহসভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম, আহমদ আলী, মো. শরীফ রানা, এস এম রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাকিব, মোহাম্মদ আলী, মো. ইকবাল হোসেন, সিরাজুম মনির, শেরওয়ান আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, মো. কামাল আহমদ, মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. ফান্টু, সহকারি আইন বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া ফাতিমা, পরিবেশ বিষয়ক সহ-সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম, সহকারি অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, সহকারি অফিস বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, সহকারি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ লিয়াকত আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহকারি আইটি বিষয়ক সম্পাদক এম এম ইয়াজদিন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নির্বাহি সম্পাদক পীরজাদী তাসনীয়া হোসেন তমা, মানবাধিকার কর্মী মিজানুর মিয়া, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সালমান মনসুর, ইফতিয়াজ আহমদ রাফী,শামসুর রহমান, সৈয়দ তারেক, মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম কবির, এহসানুল হক,নাজমুল আহমদ, গাজী জাকারিয়া, সুলতান আহমদ,মোস্তফা আহমেদ, তারেক আহমদ, তজমুল আলী,হুমায়ুন আহমদ, ফারহান খান সাকিল, মো. বদরুজ্জামান,বাবলু মুনসী, মো. হারুন মিয়া, হুসাইন আহমদ, সাব্বির আহমদ, মো. আব্দুল কবির, জাহেদ হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আল আমিন মিয়া, সাইফুর রহমান ইমন ,নিউটন মন্ডল, হুমায়ুন আহমদ, ইউসুফ নিজামী, আমিমুল এহসান আনহার, ফাহিম আহমদ, জাবেদ আহমদ, সাইফুল ইসলাম, এস এম সামসুজ্জাহা, রোকনউদ্দিন, জুয়েল আহমদ, জুবায়ের আহমদ, ফারহান খান সাকিল, হালিমুল ইসলাম হালিম, তোতা সরকার, মাহজাবিন, ছমির আহমদ, ইয়াজ কাউসার, শাহ আলম, ইউসুফ নিজামী, রোহান তারিক, মো. কামরুল ইসলাম ভুইয়া, মো. শাহজাহান চৌধুরী, সায়েক তারেখ, আব্দুল হালিম, আব্দুল্লাহ আলজাবির, তারেক, মো. রুমান মিয়া, সালেহ হোসাইন, সাকির আহমদ, রোমান মিয়া, মো. অহিদুজ্জামান, মো. শাহাব ফারহান, সাজিন, আবদুল কাদির জিলানী, মো. রোমান মিয়া প্রমুখ।