শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে: ট্রাম্পের প্রত্যাশা

  • আপডেট : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২০ Time View

ইউক্রেন শিগগিরই খনিজ চুক্তি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বলেছেন, ইউক্রেন খুব দ্রুতই তাদের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ করার বিষয়ে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা করেন।

এমনকি এই বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা তহবিলের কিছু ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে পারবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সম্ভাব্য চুক্তি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমরা আশা করছি পরবর্তী স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করব, এর ফলে আমরা ৪০ বা ৫০ বিলিয়ন ডলার ফিরে পাবো বলে আমরা নিশ্চিত।”

তিনি আরও বলেন, “এটি একটি বড় চুক্তি, তবে তারা (ইউক্রেনীয়রা) এটি চায় এবং এই চুক্তি আমাদের সেই দেশে উপস্থিত রাখবে। আমরা আমাদের অর্থ ফেরত পাবো। এটি আমাদের প্রস্তাব করার অনেক আগেই স্বাক্ষরিত হওয়া উচিত ছিল।”

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে বৃহত্তর আলোচনার অংশ হিসেবে বিরল খনিজ সম্পদের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। মূলত ইউক্রেনের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যা অস্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এসব সম্পদ বিশ্বের সব জায়গায় পাওয়া যায় না এবং এগুলো আহরণ করাও সহজ নয়। তাই এই সম্পদগুলো বেশ মূল্যবান। ইউক্রেনে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, সেগুলো চীনেও রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইউক্রেনের সম্পদের দিকে নজর দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনাটি গত সপ্তাহে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে হওয়া তীব্র বাদানুবাদের পর এসেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু করেছে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রভাবিত “অপতথ্যের জগতে” বাস করছেন।

অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জেলেনস্কিকে “নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক” বলে অভিহিত করেন।

বিশ্বে ১৭ ধরনের বিরল খনিজ সম্পদ রয়েছে। আর ইউক্রেনের কাছে যে সম্পদ আছে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্পদের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ইউক্রেনের কাছে সবচেয়ে বেশি রয়েছে— গ্রাফাইট, লিথিয়াম, টিটানিয়াম, বেরিলিয়াম এবং ইউরেনিয়াম।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর