নৃশংস খুনের বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মিল থাকার অভিযোগ তুলে পরিচালক রায়হান রাফী পরিচালিত ‘অমীমাংসিত’কে আটকে দিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে, সিনেমাটি ‘প্রদর্শন উপযোগী নয়’।
সেন্সর বোর্ড থেকে সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য বলার কারণ হিসেবে যুক্তি দেওয়া হয়, ‘এতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাল্পনিক কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে। এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। চলচ্চিত্রটির কাহিনি ও বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
কারা খুন করল অর্ণব আর নীরুকে? মুখোশধারী লোকগুলো কারা? এই অমীমাংসিত রহস্যের আদৌ কী জট খুলবে? গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেইসবুকে এই পোস্ট লিখেছিলেন নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রকাশ করেছিলেন ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার টিজার এবং পোস্টার। যা দেখে দর্শকদের কেউ কেউ বলছিলেন, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানিয়েছেন রাফী। কেউ আবার আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ কিংবা সেন্সর বোর্ডও সরাসরি সাগর-রুনির নাম বলেননি।
সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি পরদিন ৪ মার্চ সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেন। এরপর সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২২ এপ্রিল বোর্ড সদস্যরা পুনরায় পরীক্ষা করেন।
পুনরায় যাচাই শেষে বোর্ড সভায় সিনেমাটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সভায় সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা মত দেন, ‘দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়।
তবে সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চাইলে এ পত্র প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বরাবর আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন।