শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সময়ের পথে বিশ্ব: পুতিন

  • আপডেট : শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৬৪ Time View

বিশ্ব বর্তমানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বার্ষিক ভাষণে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বের সাথে ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে দ্রুতই শত্রুতা থামিয়ে বন্ধুত্বের আহ্বানও জানান পুতিন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি বলে দাবি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, পশ্চিমারা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের বৈশ্বিক প্রভাব ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।

ভাষণে পুতিন আরও বলেন, পশ্চিমারা বিপজ্জনক, রক্তাক্ত ও নোংরা ভূরাজনৈতিক খেলা খেলছে। এতে বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসাথে ইউক্রেনে সংঘাত সূচনার ক্ষেত্রেও পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের মিত্রদেশগুলোকে দায়ী করেন তিনি।

পুতিন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের আধিপত্য বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এটা তাদের জন্য নতুন কিছু নয়।

তবে ইউক্রেন ও তাইওয়ানকে ক্রমাগত যুদ্ধের উসকানি দিয়ে যাচ্ছে তারা। এতে করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি শক্তির বাজারে অস্থিতিশীলতা নেমে এসেছে।

বিশ্বের ভবিষ্যত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোকে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পরাশক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন পুতিন। তবে এতকিছুর পরও রাশিয়া পশ্চিমাদের শত্রু বলে মনে করেন না বলে জানান তিনি।
পুতিনের ভাষ্যে, পশ্চিমাদের অবিভক্ত আধিপত্যের ঐতিহাসিক সময়কাল শেষ হয়ে আসছে। একমুখী বিশ্ব অতীতের বিষয় হয়ে উঠছে। আমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে আছি। পশ্চিমারা এককভাবে বিশ্বকে পরিচালনা করতে সক্ষম নয়, তবে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে এখন অনেক দেশ আর এটা সহ্য করতে চায় না।

সম্ভাব্য পারমাণবিক উত্তেজনার বিষয়ে জানতে চাইলে পুতিন বলেন, যতদিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে ততদিন এগুলো ব্যবহারের বিপদ থেকে যাবে। সবাই মিলে একসাথে সুন্দর পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর