ফুটবল ভক্ত হিসেবে পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত আর্জেন্টাইনরা। সদ্যসমাপ্ত ফিফা দ্য বেস্টে তারই স্বীকৃতি দিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলরক্ষক এবং সেরা কোচের পাশাপাশি বেস্ট ফ্যান পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
আবেগ-ভালোবাসা অমূল্য। অর্থের মাপকাঠিতে তার পরিমাপ করা দুষ্কর। তবে স্বীকৃতি বাড়িয়ে দেয় এই গভীরতা। গেল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে যা করেছে বাংলাদেশ, তাতে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার এদেশের সমর্থকদেরও প্রাপ্য বলে মত আর্জেন্টাইন অ্যাথলিট গঞ্জালোর ।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি সমর্থকদের দেখে মুগ্ধ। তাদের ফুটবল নিয়ে প্যাশন অসম্ভব রকমের। আমি তাদের সঙ্গে যখন যোগাযোগ করতে গেছি, তারা আমাকে মেসি ও ম্যারাডোনার কথা বলেছেন। তারা আর্জেন্টিনার পতাকা উড়িয়েছে। বৃদ্ধ, যুবক কিংবা শিশু, সবাই চেনে মেসি-ম্যারাডোনাকে।’
বিশ্বকাপ এলেই ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে যায় বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা সম্পর্ক। যার ব্যতিক্রম ছিল না কাতার বিশ্বকাপেও। বাঙালির সেই উন্মাদনা ছুঁয়ে গেছে সহস্র মাইল দূরে। তারই প্রতিদান দিতে আর্জেন্টাইন অ্যাথলিট এখন বাংলায়।
গঞ্জালো বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় আমি বাংলাদেশের মানুষের মেসি-আর্জেন্টিনা নিয়ে উন্মাদনা দেখেছি। তখনই সংকল্প করি বাংলাদেশে আসব। আমি ফেসবুকে ঢাকায় পরিচিত এক দৌড়বিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমি সাত দিন ধরে দৌড়াচ্ছি, দিনে দুবার করে। ভোরে রাস্তায় বাংলাদেশের মানুষদের দেখি।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আকাশি-নীল নিয়ে আবেগ খেলা করে লাল-সবুজের দেশে। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়।