মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
অঘোষিত সেমিফাইনাল, উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। হারলেই বেজে যাবে বিদায়ঘণ্টা, জিতলেই ফাইনালের রোমাঞ্চ। এমন সমীকরণের ম্যাচে দুদলই সাজাচ্ছে নিজেদের রণকৌশল। কিন্তু সেখানে বাগড়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক সূচির ব্যস্ততা। যে কারণে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টকে বিদায় জানিয়েছেন আফগান ক্রিকেটাররা। আখেরে তাতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল রংপুরের।
যদিও ওমরজাই, গুরবাজ আর মুজিবুরের শূন্যস্থান পূরণে স্যাম বিলিংসকে উড়িয়ে এনেছে রংপুর। আগের ম্যাচে শামীম-মেহেদীর ব্যাটে চড়ে দারুণ জয় পেয়েছিল উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা। এ ম্যাচেও মূল দায়িত্বটা নিতে হবে দেশিদেরই।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদমাধ্যমকে রংপুরের বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘এটা নকআউট ম্যাচ। যতই আমরা বলি, এটা করব, ওটা করব; মাথায় কিন্তু অতিরিক্ত একটা চাপ কাজ করবেই। এখানে চেষ্টা করতে হবে যত কম ভুল করা যায়। যেটা আমরা শেষ ম্যাচে করে দেখিয়েছি।’
অন্যদিকে সিলেটের আস্থা দেশিতেই। শান্ত, হৃদয়, জাকিররা টুর্নামেন্ট জুড়েই ছিলেন কার্যকর। বিগ ম্যাচে বিগ ম্যান মাশরাফীতেই থাকছে ভরসা। বোলিংয়ে অভিজ্ঞ রুবেলের সঙ্গে তরুণ সাকিব, লিন্ডে, উদানার রসায়ন কেমন জমে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।
দলটির টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেন, ‘সিলেট ম্যানেজমেন্ট শুরু থেকে সে স্বাধীনতাটা দিয়ে আসছে, আমরা সেটা এখনো দিতে চাই। আমরা সফলতা পেয়ে এসেছি এবং এভাবেই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
সিলেটের বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেল বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস কমে গেছে এটা বলা ভুল হবে। গত ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে, আশা করি সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ক্রিকেটাররা ঘুরে দাঁড়াবে।’
টানা খেলার মধ্যে থাকায় ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করেনি কোনো দলই। এবারের টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে প্রথম পর্বে সিলেটকে দুই ম্যাচেই হারের তিক্ততা দিয়েছিল রংপুর। মিরপুরে সন্ধ্যার ম্যাচ হওয়ায়, ডিউ ফ্যক্টরে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হতে পারে টস।