তবে তথ্যচিত্রটি সম্প্রচার নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থে আদালতে মামলা করেন অ্যাডভোকেট এমএল শর্মা এবং সিইউ সিং। তাদের অভিযোগ, বিবিসির তথ্যচিত্র সম্প্রচার নিষিদ্ধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, স্বৈরতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরশিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চে নোট দিয়েছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনজীবীদের আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতে রাজি হয়েছে বেঞ্চ। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে শুনানির দিন।
এ ছাড়া প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ মহুয়া মৈত্র এ বিষয়ে আরও একটি মামলার আবেদন করেছেন।
তবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু আদালতের সময় ‘নষ্ট’ করার জন্য আবেদনকারীদের নিন্দা করেছেন। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, তারা এভাবে সুপ্রিম কোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। অথচ আদালতে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক মামলার শুনানির তারিখের অপেক্ষায় আছে।
এদিকে ভারতে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে যখন ভারতজুড়ে বিতর্ক চলছে, তখন মোদির এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।ভারতের শাসকদল বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের (বিবিসি) তৈরি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে বিভাজন এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করার চেষ্টা চলছে। এসবের প্রেক্ষিতেই নরেন্দ্র মোদির মুখে আবার ফিরে এল ‘বিভাজন’ এবং ‘একতা’র কথা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের কারিয়াপ্পা ময়দানে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দেশের উন্নতির একমাত্র চাবিকাঠি একতা। ভারতের যুবশক্তির দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিভাজন প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘দেশকে (ভারত) ভাঙার জন্য নানা রকম চেষ্টা চলছে। কিন্তু এসব করে দেশের জনগণের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা যাবে না।’