শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বকাপ স্বপ্নপূরণে বড় পদক্ষেপ বাফুফের

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৯ Time View

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার পথ সুগম করে যেতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাডেমি নির্মাণে যে বড় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বাফুফে, তার বাস্তবায়ন হলে সে পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে দেশের ফুটবল। এমন প্রত্যাশা ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের।

ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তার স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা–বাংলার ফুটবল যোগ্যতা অর্জন করুক বিশ্বকাপ খেলার। তবে এই যাত্রা বেশ লম্বা পথের।

অনেক আগে বাফুফের নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে থেমে নেইফেডারেশন। করছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রত্যয় জানিয়েছেন যে, আমাদের দেশও একদিন বিশ্বকাপে খেলবে। বিশ্বকাপে খেলতে হলে যা প্রয়োজন সেটা যদি ওনার হাত দিয়েই শুরু হয়, আমি মনে করি আগামী ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যে ভালো রেজাল্ট পেতে পারি এবং বিশ্বকাপে খেলাটাও বিচিত্র কিছু নয়।’

বাফুফে প্রত্যাশিত ডিপিপি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প শুরুতে ৪৫০ কোটি টাকার হলেও বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা।

মানিক বলেন, ‘৫৯০ বা ৫৮০-র কাছাকাছি অঙ্কের একটা ডিপিপি প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি প্ল্যানিং কমিশনের সব ফর্মালিটিজ শেষ হতে আরও দু-তিন মাস সময় লেগে যাবে।’সবশেষ সংশোধিত ডিপিপিতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কোচিং কোয়ালিটি। আর তাই একাডেমির পুরো কোচিং স্টাফ আনা হবে বিদেশ থেকে। এ ছাড়াও জাতীয় দলের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য বেড়েছে ডিপিপির আকার।

মানিক বলেন, ‘এই ডিপিপিতে আমরা মূলত ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামটাকেই বেশি মাথায় রেখেছি। আর আমাদের ইন্টারন্যাল ম্যাচ করার জন্য বরাদ্দ রেখেছি। আমাদের ডিপিপি বাড়ার কারণটিই হচ্ছে বিদেশি কোচিং প্যানেল। আমরা যদি টার্গেট নিয়ে এগোই, আমরা যদি ফুটবলকে ভালো করতে চাই, তবে আমাদের কোচ, আমাদের ফিজিও, আমাদের কোচিং স্টাফ পুরোটাই আমরা খুব ভালোভাবে নিতে চাই।’

গেল ডিসেম্বরে এই ডিপিপি পাস হওয়ার কথা থাকলেও বাফুফে প্রত্যাশা করছে এপ্রিল-মে নাগাদ শেষ হবে অর্থ ছাড়ের প্রক্রিয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর