শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন

বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি ভাঁওতাবাজি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪৪ Time View

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি ভাঁওতাবাজি।   এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

‘বিস গবেষণা সম্মেলন’- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, তার ১৪ দফায় গুম, খুন ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? জবাবে ড. মোমেন বলেন, ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশে হত্যা, গুম, খুন হয়েছে। তখন ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৫৫ জন মানুষ মারা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের ওপর বোমা হামলা হয়, তিনি তখন প্রাণে বাঁচলেও অনেকেই মারা যান। সে কারণে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। বড় দেশগুলো এটা করে থাকে। তবে আমরা এ নিয়ে আতঙ্কিত নই। আর আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলেই তারা আমাদের নানা সাজেশন দেয়। আপনার সঙ্গে কারো সম্পর্ক ভালো থাকলে, আপনিও সাজেশন দিয়ে থাকেন। এটা খুব ভালো।

যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বাংলাদেশের ওপর ভ্রমণ সতর্ক বার্তা দিয়েছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এটা ওদের দায় দায়িত্ব এড়ানোর জন্য করে থাকে। ওদের কেউ এদেশে বেড়াতে এসে যদি আহত হয়, সে জন্য দেয়। এটা কোনো ভুল নয়। এটা নিয়ে অবশ্য তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের লোকজন গিয়ে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট করতে চায়। তারা সেখানে গিয়ে বলে তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এটা বললে তারা প্রথমে আশ্রয় পায়। পরে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট চায়। এটা অনৈতিক। আর এটা না দিলে সমালোচনা শুরু করে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কূটনীতিতে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। সেটা হলো অর্থনৈতিক কূটনীতি (ইকোনমি ডিপ্লোম্যাসি), জনকূটনীতি (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি) এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা এই অঞ্চকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। কেননা এটা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বিআইআইএসএস আমাদের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আগামী দিনে আরও গবেষণা করবে বলে আমরা আশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

এবি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর