সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়ায় অনিশ্চতায় মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

  • আপডেট : শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৭ Time View

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ যে দেশগুলোতে প্রবাসী আছে সেসব দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম অনেক আগেই চালু হলেও এখনও ঝুলে আছে মালয়েশিয়ার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম।

মালয়েশিয়ায় চলমান রয়েছে অনিয়মিত শ্রমিকদের বৈধকরণ কার্যক্রম রিক্যালিব্রেশন আরটিকে টু পয়েন্ট জিরো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ই-পাসপোর্ট তৈরি বা নবায়ন করতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের।

প্রবাসীরা বলছেন, দ্রুত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু না হলে হাজার হাজার বাংলাদেশী অনিয়মিত প্রবাসী বৈধতা গ্রহন করতে পারবেন না। কলিং ভিসা ছাড়াও যারা অন্যন্যা ভিসায় মালয়েশিয়া এসে বৈধতা গ্রহনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা বেশি সংকটে রয়েছেন।

তবে দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের জন্য যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সার্ভার ও সিস্টেম প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেলেই  যে কোন সময় এ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড (ইএসএল) নামে একটি বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানি। গত ৫ জানুয়ারি ভার্চ্যুয়ালি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম মোমেন ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের জন্য কল সেন্টার উদ্বোধন করেন।

রাজধানী কুয়ালালামপুর কোতারায়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. বাশার মিয়া বলেন, ই-পাসপোর্ট বিতরণ এখন মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্ট’র কার্যক্রম চললেও মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এমআরপি পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছেন এবং বৈধতা গ্রহন করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। তারা ই-পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পারলে বৈধ হতে পারবেন না।

কল সেন্টার উদ্বোধন করলেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম কখন চালু হবে তার সঠিক তারিখ বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। সরাসরি এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড’র ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম সেন্টার পরিদর্শনে দেখা যায় আধুনিক মানের সেবা দিতে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা নিয়ে সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে ওয়ানস্টপ সার্ভিস’র সেবা দেওয়া হবে। এরমধ্যে ৪৫টি কাউন্টার ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন সহস্রাধিক পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে বলে জানিয়েছেন এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড’র এমডি মো. গিয়াস উদ্দিন।

এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড’র ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয় যে কোন টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি বেসরকারি আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড কে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। সিস্টেম চালু হওয়ার পর পরই সিস্টেম ডাউন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এক্সপার্ট সার্ভিস লিমিটেড এর এমডি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন,  উপরোক্ত অভিযোগ গুলো সঠিক নয়, ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ করা হয়েছে যার কোন সত্যতা নেই।

এবিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সিলর মিয়া মো. কেয়াম উদ্দিন বলেন, আমাদের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই ই পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর