খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রায় ২৫ লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ উপজেলায় ১০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। চিকিৎসকসহ নার্সের সংকুলান ঘটাতে কাজ চলছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান। কিন্তু অনেক উপজেলায় এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজি সেবায় নানা সংকট রয়েছে। এর মধ্যে অবহেলিত হাওড় জনপদ খালিয়াজুরীতে নেই রেডিওগ্রাফার। ফলে এ উপজেলার মানুষ কোনোদিনই দেখেননি হাসপাতালটিতে এক্স-রে পরীক্ষা হতে।
থাকলেও তা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে ওই উপজেলার রেডিওগ্রাফারকে দিয়ে আটপাড়া উপজেলার এক্স-রে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কেন্দুয়া, পূর্বধলার এক্স-রে মেশিন নষ্ট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। যে কারণে ৬টি উপজেলার মানুষকে সরকারের দেয়া সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
খালিয়াজুরী উপজেলার শিক্ষক কৃষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, ১৯৯৯ সালে স্থাপিত উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি জন্ম থেকেই তালাবদ্ধ দেখে আসছেন। তাই হাওড়পারের মানুষকে বাধ্য হয়েই জেলা শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এক্স-রে করাতে হয়। এতে তাদের গুনতে হয় অনেক টাকা। পাশাপাশি রোগী নিয়ে আসা-যাওয়ায় সময় ব্যয় হচ্ছে। থাকা-খাওয়ার জন্য গুনতে হয় বাড়তি টাকা।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, ‘প্রতিমাসে আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।