এ বছরই বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয় সৌরভ গাঙ্গুলির। তারপর আর তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর এবং বোর্ডে ৬ বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন একজন কর্মকর্তা। সেই অনুযায়ী, সৌরভের কাছে আরও তিন বছর সময় ছিল বোর্ডের সভাপতি থাকার। কিন্তু অমিতপুত্র জয় শাহ সচিব পদে থেকে গেলেও সৌরভকে রাখা হয়নি।
বিসিসিআই থেকে সরে যাওয়ার পর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলির। নিজেই গণমাধ্যমকে সে তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিএবি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি সৌরভ। ফলে মনোনয়ন জমা দেয়া একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সৌরভের বড় ভাই স্নেহাশীষ গাঙ্গুলি।
সৌরভ পরে বলেন, ‘‘নির্বাচনই হলো না। যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন হয়নি। জানি না কেন হয়নি।’
দিন কয়েক আগ পর্যন্ত তার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসিতে যাওয়া নিয়ে একটা জল্পনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআই কর্মকর্তারা ভারতীয় বোর্ডের পক্ষে কাউকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আইসিসিতেও মনোনয়নপত্র দেননি সৌরভ। এর অর্থ সৌরভ গাঙ্গুলি আপাতত ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন না।