ঘরের মাঠে এদিন ইংলিশ জায়ান্টরা বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ, গোলমুখে শট; সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল। পুরো ম্যাচে আধিপত্য করে খেললেও, ম্যাচের শুরুর মাত্র ৭ মিনিটেই গোল হজম করতে হয় তাদের। ডান প্রান্ত থেকে মোহারামির ক্রস বক্সের ভেতরে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন চেলসির ডিফেন্ডাররা। তবে দুর্ভাগ্যবশত বল চলে যায় পোস্টের সামনে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা পেতকোভিচের কাছে। হেডের সাহায্যে গোল করে দলকে আনন্দে মাতান তিনি।
তবে ক্রোয়েশিয়ান ক্লাবটির আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার স্টার্লিং। ১১ মিনিটের ব্যবধানে তিনি দলকে সমতায় ফেরান। ডি বক্সে অবামেয়াং থেকে পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের ডিন ডিফেন্ডারের পাশ কাটিয়ে স্টার্লিং বল জালে জড়ান।৩০ মিনিটে চেলসির ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জাকারিয়া। এবারও আগের গোলের পুনরাভিত্তি হয়। ডি বক্সে হ্যাবার্টের বাড়ানো পাস ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন দিনামোর মোহারামি। পায়ের আলতো স্পর্শ লেগে বল চলে যায় জাকারিয়ার কাছে। জোরালো শটে জাল ভেদে করেন তিনি।
৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘ই’ এর চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে তারা। একই গ্রুপ থেকে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আরবি সালজবুর্গকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে রাউন্ড অবস সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে এসি মিলান। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সালজবুর্গ ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে আসর থেকে বাদ পড়েছে দিনামো জাগরেব।
এদিকে গ্রুপ ‘জি’ এর ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠেই প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ৩১ মিনিটে ইসকোর কর্নার থেকে দূরের পোস্টে থাকা অরক্ষিত রাফা মির হেডের সাহায্যে গোল করেন।সমতায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে ওঠা ম্যানসিটি সাফল্যের দেখা পায় ম্যাচের ৫২ মিনিটে। প্রতিপক্ষের আলগা বল পেয়ে আলভারেস পাস দেন বক্সে, আর দূরের কোণ থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন লুইস। সিটির হয়ে ১৭ বছর বয়সী এই ইংলিশ ডিফেন্ডারের প্রথম গোল এটি।ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সিটিকে লিডে ফেরান জুলিয়ান আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে কেভিন ডি ব্রুইনার বাড়ানো থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলভারেজ। এর ১০ মিনিট পর তিনি অবদান রাখেন দলের তৃতীয় গোলে। প্রতিপক্ষের একজন বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে আলভারেজ পাস দেন মাহরেজকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন আলজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। তাতে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা।
৬ ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে পা রাখল সিটি। দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। নিজেদের শেষ ম্যাচে জার্মান ক্লাবটি কোপেনহেগের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া ও ৩ পয়েন্ট নিয়ে কোপেনহেগেন আসর থেকে বিদায় নিয়েছে।