শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

টানা দুই মাস পণ্য রফতানি কমেছে

  • আপডেট : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৯১ Time View

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান দুই উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় ও রফতানি আয়। তবে টানা দুই মাস দেশের পণ্য রফতানি কমেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পণ্য রফতানি কমেছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর বিদায়ী মাস অক্টোবরে কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।বুধবার (২ নভেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এ তথ্য অনুসারে, অক্টোবর মাসে ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতের ৪৩৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার পণ্য রফতানি করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ‍তুলনায় ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। এটি গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। ২০২১ সালের অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ‍তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। এছাড়া এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ‍তুলনায় ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম ছিল।তবে টানা দুই মাসে রফতানি কমলেও সামগ্রিকভাবে রফতানি খাতে ইতিবাচক ধারা বিরাজ করছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাস অর্থাৎ জুলাই-অক্টোবরে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। যা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।

ইপিবির সূত্র মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসের তৈরি পোশাকখাতের রফতানি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানিও বেড়েছে। তবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে।

গত অর্থবছরে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম চার মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কম আয় হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর