হামবুর্গ, জার্মানি – বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ঘিরে জার্মানির হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ আয়োজন, যেখানে একসাথে পালিত হলো বইমেলা এবং পহেলা বৈশাখ।
স্থানীয় সংগঠন বাংলার পার্বণের সদস্যদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং সাহিত্যপ্রেমী জার্মান নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। ফলে এই অনুষ্ঠান পরিণত হয় এক মিলনমেলায়, যেখানে সুর, সাহিত্যের ছোঁয়া এবং স্বাদের রসনায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বাংলা বইমেলা। নানা বিষয়ের বই, প্রবাসী ও স্বদেশি লেখকদের রচনাসমূহ, এবং ছোটদের জন্য রঙিন গল্পগ্রন্থে সমৃদ্ধ ছিল মেলাটি। বইমেলাটি ছিল বাংলা ভাষার বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রিক। এতে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বই স্থান পায়। শিশুদের জন্য আলাদা কর্নার, কবিতা পাঠ, এবং সাহিত্য আলোচনার আয়োজনও ছিলো।
পাশাপাশি বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩২। অনুষ্ঠানে ছিল বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি। অংশগ্রহণকারীরা পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক—নারীরা শাড়ি আর পুরুষরা পাঞ্জাবিতে সেজে উৎসবকে করে তোলেন রঙিন ও প্রাণবন্ত।
অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বসেছিল বাহারি বাঙালি খাবারের স্টল। ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, রসমালাই, জিলাপি—সব মিলিয়ে যেন ছিল এক স্বাদের কার্নিভাল।
আয়োজক সংগঠকদের অন্যতম সদস্য মৃদুল রায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আমরা ধারণ করতে চাই এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বাঙলার সংস্কৃতি বার্তা। আমাদের এই আয়োজন শুধু একটি অনুষ্ঠান নয় এটি হামবুর্গে বসবাসরত বাংলাদেশীদের হৃদয়ের আত্মিক সংযোগ—বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও স্মৃতির সঙ্গে এক নিবিড় মেলবন্ধন।
এ আয়োজন হামবুর্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে গভীর উৎসাহ ও মিলনের অনুভূতি সৃষ্টি করেছে।
শ্রাবণ রহমান
হামবুর্গ, জার্মানি।