সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

আমেরিকার আকাশসীমা ব্যবস্থায় স্টারলিংক ব্যবহারের উদ্যোগ মাস্কের

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১১ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) জাতীয় আকাশসীমা ব্যবস্থার তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। এ বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

এফএএ’র গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২৩ সালে ভেরিজন কমিউনিকেশনস ইনকরপোরেটেডের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি করা হয়েছিল। তবে মাস্কের নতুন এই পদক্ষেপে স্বার্থের দ্বন্দ্বের প্রশ্ন উঠছে।সূত্রের ভাষ্যমতে, গত সপ্তাহে ইলন মাস্ক এফএএ’র জন্য চার হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি এরই মধ্যে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে এফএএ’র বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি গবেষণাগারে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।

এফএএ’র এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, আটলান্টিক সিটিতে একটি এবং আলাস্কার দুটি নিরাপত্তাহীন পরীক্ষামূলক স্থানে স্টারলিংক টার্মিনাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, আলাস্কার মতো দূরবর্তী স্থানে নির্ভরযোগ্য আবহাওয়া তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই সংস্থাটি স্টারলিংকের ব্যবহার বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভেরিজনের এক মুখপাত্র বলেছেন, সংস্থাটি এফএএ’র গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ ও কার্যকর বিমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে মাস্ক তার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ভেরিজনের ব্যবস্থা কার্যকরভাবে কাজ করছে না, যা বিমান ভ্রমণকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।স্টারলিংক টার্মিনাল ব্যবহারের ফলে ভেরিজনের বর্তমান চুক্তির ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ হাজার ফ্লাইট পরিচালিত হয়, যেখানে প্রায় ৩০ লাখ যাত্রী আকাশপথে চলাচল করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে একটি সামরিক হেলিকপ্টার ও একটি আঞ্চলিক জেটের মধ্যকার ভয়াবহ সংঘর্ষের পর এফএএ’র পুরোনো বিমান নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এ দুর্ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘অচল প্রযুক্তি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর