ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্তিতে কিয়েভে আসতে শুরু করেছেন ইউরোপীয় নেতারা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছেই। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতেই কিয়েভে পৌঁছেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
কয়েক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের কথা স্মরণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয়দের ‘দুঃসাহসিক বীরত্ব’ এবং ‘তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ প্রতিরোধের’ প্রশংসা করেছেন।
তিন বছর আগে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময় ইউক্রেনে প্রবেশ করে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক এবং রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করা হয়।
তবে তারা প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে শুরু থেকেই সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো এখনও সমর্থন অব্যাহত রাখলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরই সেই চিত্র পাল্টে গেছে।
সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘যেকোনো কিছু’ পেতে চায়।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার ‘প্রত্যাবর্তন’ তিনি নিশ্চিত করতে চান। এর জন্য ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ‘প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে।তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি।তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি।এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছাড়াও ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নরওয়ে, স্পেন এবং সুইডেনের নেতারাও ইউক্রেনে সফর করছেন।