মেঘনা ও হোমনা উপজেলায় বিএনপির ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতা হলেন মেঘনা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ জামান। হোমনা-মেঘনার অহংকার, প্রয়াত বিএনপি নেতা এম.কে আনোয়ারের রাজনৈতিক প্রধান হাতিয়ার ছিলেন, জালাল আহমেদ জামান। ১৯৯৬ হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত মেঘনা উপজেলায় যখন বিএনপি’র রাজনীতি করা সহজ ছিলনা। তখন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের চোখে চোখ রেখে বিএনপির প্রাণ ভোমরা হয়ে
রাজনীতি করে গিয়েছেন জালাল আহমেদ জামান। তৎকালীন সময়ে এম.কে আনোয়ার যেখানে মেঘনায় একটি উঠান বৈঠক করতে পারতেন না, সেখানে তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সফল সভা-সমাবেশ করেছিলেন।
কোন শক্তিই সেদিন তাকে রুখতে পারেনি। এমনকি তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর গংদের মধ্যে আতঙ্কের এক নাম ছিল জালাল আহমেদ জামান। তাঁর এমন ম্যাজিক্যাল প্রত্যাবর্তণে আওয়ামী সন্ত্রাসী গুষ্ঠির আত্মবিশ্বাসে যেমন চির ধরেছিল, তেমনি নিজ দলের সুবিধাভোগী, চাটুকার নেতা কর্মীরাও চিন্তায় পরে গিয়েছিলেন। এই ভেবে যে, জামান একটি সহযোগী সংগঠনের নেতা হয়ে যেভাবে সততা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দৃঢ়চেতা মন-মানসিকতা নিয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, এভাবে চলতে থাকলে দলের অনেক বড়-বড় নেতা পদ হারানোর ভয়ে ছিলেন। তাই তারা সেদিন আড়াল থেকে তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে চক্রান্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে দেন। তাই সেই দিন তিনি দলীয় সহকর্মীদের কু-চক্রান্তের বলি হয়ে বিএনপিকে ভালোবেসে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না করে দলীয় সহকর্মীদের কাছ থেকে মিথ্যা বন্ধুত্বের বেইমানি সহ্য করে দেশত্যাগ করেছিলেন।
দেশ ত্যাগ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু বিএনপিকে ভালোবেসে সুদুর আমেরিকার থেকেও বিএনপি’র পতাকাকে উড্ডয়ন রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির প্রতিটি সভা- সমাবেশে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা কি-না আজকের এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা অবগত আছেন। বর্তমানে মেঘনা উপজেলায় কিছু মানুষ প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যে, জালাল আহমেদ জামান দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর পর বিএনপির রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা দেখেন, প্রবাসে থেকেও বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্ণধার তারেক রহমানসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে রাজনীতি করেছেন। জালাল আহমেদ জামান দেশে থাকাকালীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জেলে একের পর এক রিমান্ডের শিকার হয়েছেন। তাঁর বাবা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে অনেক আইনী পদক্ষেপ এবং শত চেষ্টা-প্রচেষ্টার পরেও বাবার জানাজা পর্যন্ত পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। বিএনপি’র রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের জীবনের সর্বস্ব বিলীন করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি রাজনীতি করতে গিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকা বাড়ি ও গাড়ি
হারিয়েছেন।দল করতে গিয়ে তিনি যা হারিয়েছেন ও যত অত্যাচারিত হয়েছেন, তা হয়তো অল্প কথায় লিখে শেষ করা যাবে না কিন্তু এতটুকু বলা যায় যে, বিএনপি করতে গিয়ে তিনি যা হারিয়েছেন, তা শুধু একজন ত্যাগী এবং দলপ্রেমী নেতার পক্ষেই সম্ভব। তিনি একজন কর্মীবান্ধব নেতা, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও নেতৃত্ব শৈলী মানসিকতার কারণে তিনি সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছন।
মোহাম্মদ মেহের আলীর লেখা থেকে নেওয়া