গত বছরের ৯ আগষ্ট কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ-খুনের শিকার হন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আর জি করের আরও এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কামারহাটি পৌরসভার কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ওই মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর মা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক। ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতেন তারা। ওই শিক্ষার্থীর বাবা মুম্বাইয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে মুম্বাইতেই আছেন।
কামারহাটি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন ওই শিক্ষার্থী কোয়ার্টারে একাই ছিলেন। বেশ কয়েকবার তার মা তাকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। বাসায় ফিরে বারবার দরজায় টোকা দেন শিক্ষার্থীর মা। কোনো সাড়া না পেয়ে ধাক্কা দিতে শুরু করেন দরজায়। পরে কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের ডেকে দরজা খুলতেই দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে মেয়ে।
কোয়ার্টারের প্রতিবেশীদের সহায়তায় গলার ফাঁস খুলে তড়িঘড়ি নামানো হয় ওই শিক্ষার্থীকে। সঙ্গে সঙ্গেই কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা দেন। এরপর তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এখনও পর্যন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতেও নারাজ শিক্ষার্থীর পরিবার। তবে আপাতত কামারহাটি থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।কামারহাটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারের যে ঘর থেকে তরুনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছে কামারহাটি থানার পুলিশ।