শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

ট্রাম্পের নির্দেশে তথ্য সরিয়ে ফেলছে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা

  • আপডেট : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৪ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েব পেজগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। লিঙ্গপরিচয় ও বৈচিত্র্য সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক কর্মী।

সিডিসির যেসব ওয়েব পেজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তার মধ্যে আছে এইচআইভিতে আক্রান্ত ট্রান্সজেন্ডারদের পরিসংখ্যান এবং সমকামী, উভকামী ও ট্রান্সজেন্ডার তরুণদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত ভিন্নতা সম্পর্কিত তথ্য। তরুণদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করে, এমন আচরণ শনাক্তকারী একটি ডেটাবেজ অফলাইন হয়ে গেছে।

এদিকে, ইন্টারনেট আর্কাইভের তথ্য বলছে, মানুষ কীভাবে এইচআইভি পরীক্ষা করাতে পারবে, সে সংক্রান্ত তথ্যসমৃদ্ধ একটি পেজ হাওয়া হয়ে গেছে। এইচআইভি পরীক্ষা ও রোগীদের চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য দিয়ে চিকিৎসকদের জন্য পেজটি তৈরি করা হয়েছিল।

তাছাড়া সিডিসির ওয়েবসাইট থেকে ইয়ুথ রিস্ক বিহেভিয়র সার্ভেল্যান্স সিস্টেমও উধাও হয়ে গেছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার, কিশোর বয়সে গর্ভাবস্থা, অনিরাপদ যৌনাচার ও কিশোর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রবণতা শনাক্ত করা হয়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু নারী ও ‍পুরুষ- এই দুই লিঙ্গকে স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তিনি বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিগুলো বাতিল করারও আদেশ দেন।

জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের আদেশগুলো কীভাবে মেনে চলতে হবে, সে সম্পর্কে আরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৫টার আগেই এসব আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

জন্মগতভাবে পাওয়া লৈঙ্গিক পরিচয় বদলে নিজে নিজে লৈঙ্গিক পরিচয় নির্ধারণ করার প্রবণতাকে স্বীকৃতিদানকারী কর্মসূচিগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে। অনলাইনে লৈঙ্গিক পরিচয়বিষয়ক তথ্যগুলো সরিয়ে ফেলারও পদক্ষেপ নিতে বলা হয় ওই চিঠিতে।

সিডিসির কাজগুলো তত্ত্বাবধান করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ। এই বিভাগে মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে প্রেসিডেন্টের পাঠানো নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

সূত্র: রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর