রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

ওয়াশিংটনে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মৃত্যু বেড়ে ৩০

  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী প্লেন ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় প্লেনটিতে ৬৪ জন ও হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী প্লেনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর প্লেন-হেলিকপ্টার উভয়েই পোটোমাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

সিবিএস নিউজের খবর অনুসারে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমেরিকান এয়ারলাইনস নিশ্চিত করেছে, প্লেনটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। আর মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন তিনজন সৈন্য।

মার্কিন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত হেলিকপ্টারটি ছিল ইউএইচ-৬০ মডেলের।

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে খুব কম তথ্য পাচ্ছেন। এক নারী কান্না করতে করতে বলেন, আমি জানি না সে সেখানে (প্লেনে) উঠেছে কি না।

হামাদ রাজা নামে এক ব্যক্তি চ্যানেল ওয়াসিএ’র কাছে বলেন, আমি রিগান বিমানবন্দরে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সে আমাকে টেক্সট করেছে যে, ২০ মিনিটের মধ্যে অবতরণ করবে। আমার বাকি টেক্সট… ডেলিভারি হয়নি। তখন আমি বুঝতে পারলাম, কিছু একটা হয়েছে।

ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারের একটি ওয়েব ক্যামেরায় মাঝ আকাশে একটি বিস্ফোরণ হতে দেখা গেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও রবার্ট আইসাম বলেন, আমরা জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের তদন্তে সহযোগিতা করছি এবং যতটুকু সম্ভব তথ্য প্রদান করতে প্রস্তুত আছি।

পুলিশ জানিয়েছে, পোটোমাক নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে একাধিক সংস্থা কাজ করছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে সব উড্ডয়ন এবং অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর তাদের আত্মাকে শান্তি দিন। যারা দুর্ঘটনার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তাদের করা অবিশ্বাস্য কাজের জন্য ধন্যবাদ। আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে কোনো মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি কাছাকাছি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

সূত্র: এএফপি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর