বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

৩০০ ছাড়ালো কাঁচা মরিচ, শসা সেঞ্চুরি

  • Update Time : রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪
  • ৫ Time View

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ সোমবার (১৭ জুন)। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে শসা ও কাঁচা মরিচ। হঠাৎ এক-দুই দিনের ব্যবধানে এ ‍দুইটি পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে গেছে। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মুগদা ও ‍মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ-খবর নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের আগে চিরাচরিত নিয়মে সিন্ডিকেট করে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম বাড়ানো হয়েছে। ঈদে মাংসের সঙ্গে আপ্যায়নের অনুষঙ্গ সালাদ সবার পছন্দ। এছাড়া, কাঁচা মরিচ তো নিত্যপণ্য। এসব বিষয়কে পুঁজি করে এবার পণ্য দুইটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। তবে, বৃষ্টি আর ঈদে সরবরাহ কম— এমন অজুহাতে দাম বেশি নিচ্ছে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মুগদা এলাকার সবজি বিক্রেতা হাশেম মিয়া বলেন, নতুন করে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। দুই দিন আগে বৃষ্টি হয়েছে, এছাড়া ঈদের আগে গাড়ি ভাড়া বেশি ও সরবরাহ কম। দুই দিন আগে এক পাল্লা (৫ কোজি) কাঁচা মরিচ পাইকারি কেনা পরতো ৮০০ টাকা; আজকে খরচসহ ১১০০ টাকার ওপরে কেনা পড়েছে। তাই প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৩০০ টাকা।

তিনি বলেন, দুই দিন আগে শসা বিক্রি করেছি ৬০ টাকায়। আজ হাইব্রিড শসা ১০০ এবং দেশি শসার দাম ১৩০ টাকা। তবে, লেবু দাম বাড়েনি। প্রতি হালি ছোট লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। আর বড় সাইজের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। সাধারণ সাইজের টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা আর। টক ও বড় সাইজের টমেটো ১২০-১৪০ টাকা।

সবজি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা জাফর বলেন, শসা কিনলাম ১০০ টাকা কেজিতে। আর কাঁচা মরিচ এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) নিলো ৮০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার শসা কিনেছিলাম ৬০ টাকায়। তখন এক পোয়া মরিচ ছিল ৪০ টাকা। তার মানে ঈদে দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে ফেলেছেন। সব সময়ই এই কাজ করে ঈদের দাম বাড়িয়ে দেয়। অভিযোগ করে কোনো লাভ হয় না। সব সময় পকেট কাটে ক্রেতার, আর লাভ গোনে ব্যবসায়ীরা।

শসা, কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও ঈদের আগের দিন অন্যান্য সবজির চাহিদা কম থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। আজকের বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল ৭০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, কচুমুখি ১০০ টাকায়, গাজর ৮০ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকায়, ধুন্দল, ঝিঁঙে ও করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকায় ও গোল বেগুন ৭০ টাকায় ও পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মিষ্টি কুমড়ার পিস সাইজ অনুযায়ী ২০-৩০ টাকায় ও লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category