কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বইমেলার ১১তম আসর। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী, নাট্যকার ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু মেলার উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনেই প্রত্যাশিত বই পেতে মেলায় ভিড় জমান কলকাতার পাঠকরা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কলেজ স্ট্রিটে রয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের মতো প্রাচ্যের অন্যতম বিখ্যাত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ততম বইয়ের বাজার গড়ে উঠেছে ঐতিহাসিক কলেজ স্ট্রিটে। এখানে রয়েছে মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গানের কফি হাউসও।
বাংলাদেশ বই প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে এই মেলায় এবার অংশ নিয়েছে ৬৫টি প্রকাশনী সংস্থা। মেলার প্রথম দিনেই প্রত্যাশিত বই কিনতে মেলায় ভিড় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা।
উৎসবের ১১তম আয়োজন নিয়ে দারুণ আশাবাদী দুই বাংলার বিশিষ্টজনরা। তাদের প্রত্যাশা, যত বেশি দুই বাংলার সংস্কৃতি আদান-প্রদান হবে, সম্পর্ক তত বেশি নিবিড় থেকে নিবিড়তর হবে।
২০১১ সালে কলকাতায় সর্বপ্রথম একটি মাত্র ঘরে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বইমেলা। এরপর কলকাতার জ্ঞান পিপাসুদের আখড়া বলে পরিচিত ররীন্দ্র সদন হয়ে প্রাণের এই উৎসব পা রেখেছিল মোহরকুঞ্জের মতো গার্ডেনে। সেখান থেকে গত বছরই মেলা সরে আসে এই কলেজ স্কয়ার প্রাঙ্গণে।