মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলতি বছরব্যাপী ১০ মাসের সাড়াঁশি অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪৮ হাজার আনডকুমেন্টেড বা অবৈধ ভাবে বাস করা অভিবাসীকেগ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুয়ালালামপুর জালান মুন্সি আবদুল্লাহ সিটি ওয়ান কনডোমিনিয়ামে রাতভর অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের আরো প্রায় ১৩৬ আটককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১ টার সময় ইমিগ্রেশনের অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো রুসলিন বিন জুসোহ।
চলতি সারা বছরের অভিযানে আটক ৪৮ হাজার অভিবাসীর মধ্যে ২৪৫ জন নিয়োগকর্তা ও ২৩৪ জন স্থানীয় নিয়োগকর্তাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুসলিন। তবে আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানায়নি দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গতকাল আটক ১৩৬ জন অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের ১৩০ জন পুরুষ ও ছয়জন বাংলাদেশি নারী রয়েছেন, যাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৭০ বছর।
অবৈধভাবে যারা মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন, তাদের জন্য চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘আরটিকে ২.০’ প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়ার পরও দেশটিতে এখনও যারা নাম নিবন্ধন ছাড়া রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কাজ করছে অভিবাসন বিভাগ।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রুলস ১৯৬৩ অনুযায়ী অধিকতর তদন্তের জন্য আটক সকল অভিবাসীকে সেলাঙ্গরের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ১৪ দিন সেমেনিয়াহ ক্যাম্পে রাখার পর তার সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।