জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জী। ২০১৪ সালে প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর প্রথমবার মা হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় মেয়ে আদিরা। পরে ২০২০ সালে করোনার সময় দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে পাঁচ মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় অনাগত সন্তানের।
তবে আনাগত সন্তানের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই তার কাছে এসেছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমার প্রস্তাব। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব মেলবোর্নে এ বিষয়েই কথা বলেন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, পাঁচ মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় অনাগত সন্তানের। এ বিষয়ে আমি প্রথমবার কথা বলছি। ঘটনাটি ঘটেছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমার শুটিং শুরুর আগে। কিন্তু তখন কাউকে বলিনি। কেননা অনেকে আমার ব্যক্তিগত শোককে সিনেমার প্রচার ভাবত। আজ প্রায় ৩ বছর পর আমি এ বিষয়ে কথা বলছি।টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রযোজক নিখিল আদভানি আমার সন্তানের মৃত্যুর ১০ দিন পর আমাকে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমার প্রস্তাব দেন। সন্তানকে হারানোর পর নিখিল আমাকে ফোন করে গল্পটা বলে। আর আমাদের জীবনে কিছু সময় এমন আসে, যখন আপনি ব্যক্তিগত জীবনে সেই একই ফেজের মধ্য দিয়ে যাবেন, একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে হয়তো যাচ্ছেন, তখন তেমন কোনো গল্প পেলে এমনই চট করে সেটার সঙ্গে একটা কানেকশন তৈরি হয়ে যায়। এ ছাড়া আমি কখনোই ভাবিনি যে নরওয়ের মতো দেশে একটি ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে এমন কিছু হতে পারে।
তবে এ বিষয়ে ওই সময় প্রযোজক নিখিলও কিছু জানতো না।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নরওয়েতে এক ভারতীয় দম্পতির সন্তানকে তাদের থেকে আলাদা করে দিয়েছিল নরওয়ের ওয়েলফেয়ার সার্ভিস। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। পরিচালক অসীমা ছিব্বরের এ সিনেমায় এক লড়াকু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। যিনি সন্তানের স্বার্থে গোটা একটা দেশের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।
‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ রানীর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। মুক্তির পর বেশ প্রশংসিত হয় চলচ্চিত্রটি। এতে রানীকে দেখা গেছে চ্যাটার্জি পরিবারের স্ত্রী হিসেবে।