প্রতি বছরের ন্যায় এবারো জার্মানির পোর্ট সিটি খ্যাত হামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হলো- হামবুর্গ প্রিমিয়ার লীগ-২০২৩ । এটি ছিলো হামবুর্গে বসবাসরত ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে বড় আসর।
গত ২৭, ২৮ এবং ২৯ ই মে, হামবুর্গে “আলারমুহে” ক্রিকেট মাঠে উৎসবমুখোর পরিবেশে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শর্ট পিচ টুর্নামেন্টে নতুন তিনটি দল সহ মোট নয়টি দল এবং প্রতিটি দলে ৯ জন করে মোট ৮১ জন ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করেন।
দল গুলোর মধ্য,- দ্যা সসারার্স, এম্পেরিওরস, এরিএন্স, দ্যা সুপারনোভাস, টাইট্যান্স, হামবুর্গ ম্যাভেরিক্স, হামবুর্গ হ্যারিকেন্স, হামবুর্গ লায়ন্স এবং হামবুর্গ গ্ল্যাডিয়েটরস ।
গ্রুপ পর্বের প্রতিটি খেলা শেষে মোট চারটি দল নক আউট পর্বে খেলার সুযোগ লাভ করে। নক আউট পর্বে জয় ছিনিয়ে নিয়ে হামবুর্গ লায়ন্স এবং এরিএন্স ফাইনালে মুখোমুখি হয়।
বিকেল ৫ টায় টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে টচে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হামবুর্গ লায়ন্স । টিম এরিএন্স দশ ওভার ব্যাটিং করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১১২ রান। প্রতিপক্ষের ১১২ রানে তাঁরা করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে মাত্র ৮ ওভার ১ বলে লায়ন্স-এর অধিনায়ক আঁকিব মুরতুজা এবং সহ-অধিনায়ক আশিক মাহমুদ ১১৬ রান ঘরে তোলেন।সেই সাথে হামবুর্গ প্রিমিয়ার লীগ- ২০২৩ এর চ্যাম্পিয়ান দল হিসেবে হামবুর্গ লায়ন্স তাঁদের নাম লিখে ফেলেন।
উক্ত ফাইনাল ম্যাচে “ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ” হন লায়ন্স-এর অধিনায়ক আঁকিব মুরতুজা ।
হামবুর্গ প্রিমিয়ার লীগ ২০২৩ এর “প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট” হন – হামবুর্গ লায়ন্স-এর অধিনায়ক আঁকিব মুরতুজা । সেরা ব্যাটসম্যান – রায়হান সিদ্দিক, সেরা বোলার- আদনান আব্দুল হাই, এবং সুশৃংখল খেলা পরিবেশন করার জন্য “ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড” পায়- হামবুর্গ গ্ল্যাডিয়েটরস।
এবারের টুর্নামেন্টে নতুনদের মধ্যে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে পুরুস্কার পান- কামরুজ্জামান রায়ান।
প্রতিবারের ন্যায় হামবুর্গে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যে আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে হামবুর্গের বাংলাদেশী তরুণ ছাত্ররা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকে। এবারের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন, তানভীর আহমেদ, ওয়াসিম সাজ্জাদ, আঁকিব মুরতুজা এবং আসিফুর রহমান। সেই সাথে পুরো টুর্নামেন্টের মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন শ্রাবণ রহমান।
হামবুর্গ প্রিমিয়ার লীগ- ২০২৩ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন Sareekothon By Ninea, Ranna Ghar-রান্না ঘর এবং ফুড স্পন্সর হিসেবে ছিলেন- FOOD LANDSCAPE।
শ্রাবণ রহমান, হামবুর্গ, জার্মানি।