শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

সোনিয়া গান্ধী কি রাজনীতি ছাড়ছেন?

  • আপডেট : শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪১ Time View

ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী কি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে যাচ্ছেন? শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দলীয় সমাবেশে দেয়া ভাষণে তার এ সংক্রান্ত এক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

শুক্রবার থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন। তিন দিনের এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভাষণ দেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শনিবার দলীয় অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমেই আমার যাত্রা শেষ হতে পারে। এই যাত্রা শেষই আমাকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত করবে।’

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এদিন সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় আলোচনা। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। আগামী বছরের লোকসভা ভোটে সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। যদিও এ নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

রায়পুরের প্লেনারি অধিবেশনে ছেলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে চার মাস ধরে চলা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ভূয়সী প্রশংসা করেন সোনিয়া। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরে শেষ হয় এই পদযাত্রা।

‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মিছিল দিল্লিতে পৌঁছালে তাতে অংশ নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তখন ছেলে রাহুল ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা যায় তাকে। শনিবারের বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তোলেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী।

রায়পুরের প্লেনারিতে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এদেশের জনগণ যে সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও সাম্য চায়; এই কর্মসূচিতে সেটা দিনের আলোর মতো প্রমাণ হয়ে গেছে।’

পাশাপাশি বিজেপি ও আরএসএস-কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে ঘৃণার আগুন ছড়াচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। ক্ষমতার লোভে বিভাজনের রাজনীতি করছে পদ্ম-শিবির। ভারতীয় গণতন্ত্রের কাঠামোগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই প্লেনারি অধিবেশনেই জোট নিয়ে আলোচনা করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এছাড়াও দলের নীতি নির্ধারক ওয়ার্কিং কমিটির গঠন নিয়েও একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওয়ার্কিং কমিটির অর্ধেক পদ দলিত, ওবিসি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, নারী ও তরুণ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফলে ওয়ার্কিং কমিটিতে ভোটাভুটির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে কংগ্রেস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর