ভারতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দাবি করা হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও গিলকিট বালতিস্তান উভয়ই এক সময় জম্মু ও কাশ্মীরের অধীনে ছিল, যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষের অংশ ছিল এবং অবৈধভাবে সেটি দখল করেছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান এ দাবিকে অস্বীকার করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে একই দাবি করে।
দেশের জরুরি অর্থনৈতিক সংস্কার করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছে পাকিস্তানিরা।
পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ নাভিদ বাসির বলেন, পাকিস্তান সরকার কিংবা সেনাবাহিনী যা করছে, বিচার বিভাগ যা করছে, তাতে জনগণ খুশি নয়। তারা আসলেই পুরোপুরি খুশি নয় এবং এমন আন্দোলনের পথ খুঁজছে যা তাদের নেতৃত্ব দিতে পারে।
এরইমধ্যে দেশটিতে স্বাধীনতাপন্থী কিছু সংগঠন জেয় সিন্ধু কওমি মাহাজ (জেএসকিউএম), ওয়ার্ল্ড সিন্ধ কংগ্রেস, এবং জেয় সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্টের মতো বেশ কিছু সংগঠন ব্যাপক সমর্থন অর্জন করেছে।
সিন্ধুরা প্রাচীন সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সঙ্গে তাদের শেকড় খুঁজে পেতে পারে। তারা মনে করছে, পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত থাকার ফলে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত ও হুমকির মুখে পড়বে। এভাবে একটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্য আওয়াজ উঠছে।
বৈষম্য, দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকট ও চরম দারিদ্র্য এবং সংস্কৃতি ও ভাষাগত আগ্রাসনের মুখে পাকিস্তানের এসব অংশের মানুষ তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েন দেশটিকে ‘বলকানাইজেশন’ বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিদ্বেষপূর্ণ গোষ্ঠী-অংশে পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে যেতে পারে কিনা- এখন সেই প্রশ্ন উঠছে।