শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেকেই তুরস্ক ও সিরিয়ায় শিশুদের জীবিত উদ্ধারের ঘটনা ফলাও করে প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম। এমনকি নিহতদের কথাও তুলে ধরেছে তারা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, ভূমিকম্পের কারণে দেশ দুটিতে হাজারো শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কয়েক হাজার শিশুকে। এমনকি হতাহতদের অনেকের নাম সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত হয়নি বলেও দাবি তাদের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০ লাখেরও বেশি শিশু। যার মধ্যে তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৪৬ লাখ শিশু আর সিরিয়ায় এ সংখ্যা অন্তত ২৫ লাখ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এই শিশুদের একটি অংশ শারীরিকভাবে আহত। এর বাইরে গৃহহীন, ক্ষুধার্ত ও শীতার্ত অবস্থায় দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে লাখ লাখ শিশু। বিপুলসংখ্যক শিশু হারিয়েছে তাদের মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে। এমনকি এখনো অনেক শিশু ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা তাদের।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সবশেষ পাওয়া খবরে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুই দেশে ৪১ হাজারেরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।