দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, বিদেশিদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, বিদেশি গোয়েন্দাদের সরাসরি সহযোগিতা, ইচ্ছাকৃত খুন ও কাউকে আহত করা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস ও লুটপাটের অভিযোগ এবং কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মামলা না থাকলে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ক্ষমা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।
ইরানের মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিষ্ঠা করা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সির (এইচআরএএনএ) তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।
এদিকে শান্তিতে নোবেলবিজয়ী শিরিন এবাদি বলেছেন, নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণীর মৃত্যু দেশটিতে যে ‘বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া’ শুরু করেছে তা কোনোভাবেই আর পরিবর্তন করা যাবে না। এর মাধ্যমে ইরানে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতনও ঘটতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইরানে ধর্মীয় শাসনের কট্টর সামালোচকদের একজন শিরিন এবাদি। ইরানের ধর্মীয় শাসনের বিরোধী অন্যান্য সমালোচকদের মতো শিরিন এবাদিও মনে করেন, এই আন্দোলন ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে তবেই থামবে। তার মতে এই আন্দোলনই এখনো পর্যন্ত ইরানের শাসকদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন।