কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ সুদানের প্রতিবেশি দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে পোপের। তার আগে সংঘটিত এই সহিংসতা পোপোর সফরের নিরাপত্তা নিয়ে আরও প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দিল।
মধ্য ইকুয়াতোরি প্রদেশের কাজো-কেজি কাউন্টির কমিশনার ফনুয়েল দুমো বলেছেন, ‘বিদ্রোহীরা আগে গবাদিপশু মালিকসংঘের ৬ জনকে হত্যা করে। পরে জবাবে বৃহস্পতিবার গবাদিপশু মালিকসংঘের লোকেরা স্থানীয় একটি গ্রামের ২১ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।’
ফনুয়েল আরও জানান, নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং গর্ভবতী নারীও ছিল।
২০১৮ সাক্ষরিত এক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দেশটিতে দীর্ঘ ৫ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। তবে তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়ে যায়। যার ফলাফল হিসেবে প্রতিনিয়তই দেশটিতে ছোটখাটো সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে।
এদিকে, পোপের সঙ্গে দক্ষিণ সুদান সফরে আসবেন চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবুরি জাস্টিন ওয়েলবি। সহিংসতার বিষয়টি জেনে তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ সুদানে এমন ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে ভয় না পেয়ে, আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দক্ষিণ সুদানে শান্তি আনয়নের স্বার্থে আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করা উচিত।’