বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

পাইপলাইনে ক্রিকেটার বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা বিসিবি নারী উইংয়ের

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৫২ Time View

আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে সামনের ব্যস্ত শিডিউলকে মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে বিসিবি নারী উইং। সেখানে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পাবে অধিক গুরুত্ব। কাজ করা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির মেয়েদের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে। বোর্ডের এই কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, পরিকল্পনা কাজে লাগলে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করবে মেয়েদের ক্রিকেট।স্বপ্নযাত্রার শুরু ২০০৭ সালে, তবে ওয়ানডে স্ট্যাটাস প্রাপ্তি আরও চার বছর পরে। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার গল্প। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা করতে পারেনি ছেলেরা, এশিয়া কাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তাই করে দেখিয়েছেন বাংলার জয়িতারা।

তারপরও প্রশ্ন এসেই যায়, আদৌ কতটুকু আগাতে পেরেছে দেশের নারী ক্রিকেট? বিশেষ করে বর্তমান দলে যারা খেলছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের অধিকাংশেরই বয়স এক দশেকের বেশি। যা সাক্ষ্য দেয় পাইপলাইনে ক্রিকেটার সংকটের। যদিও সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইয়াং টাইগ্রেসদের পারফম্যান্স দেখাচ্ছে আশার আলো। তবে এবার পাইপলাইনে অধিকসংখ্যক ক্রিকেটার ভেড়াতে ভিন্ন পরিকল্পনা বিসিবির নারী উইংয়েরর।বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘আমরা কিন্তু গত চার বছর ধরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কাজ শুরু করেছি। আমরা যদিও স্কুল ক্রিকেটটার কথা বলেছি, কিন্তু বারেবারে বিভিন্ন কারণে, কোভিডের কারণে আমরা পারিনি। তবে এবার আমরা শুরু করব। আমাদের মূল লক্ষটা হচ্ছে যে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও মহিলা ক্রিকেটটাকে আরও বেশি প্রসারিত করা। তাহলে সেটি টেকসই হবে। জাতীয় দলে যারা আছেন, আপনি দেখেন, তারা কিন্তু আট-দশ বছর ধরে তারা খেলে যাচ্ছে। আমাদের খেলোয়াড় যারা আসবে বা পাইপলাইনে আছে, এই পাইপলাইনটা যদি আমরা আরও শক্তিশালী করতে হয়, আমাদের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

চলতি বছর বিশ্বকাপ ছাড়াও, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আছে ৪টি এফটিপির সিরিজ, যা নিয়েও ভিন্ন পরিকল্পনা ম্যানেজমেন্টের।নাদেল বলেন, ‘নারী ক্রিকেটকে অবহেলা করার, হেলাফেলা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা অনেক করেছি, আমি মনে করি, এ সাফল্যগুলো দিয়ে মেয়েরা তাদের যোগ্যতা, সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে এবং তারা যে জায়গায় গিয়েছে, তাদের অবশ্যই আমাদের সাপোর্ট দিতে হবে। গেম ডেভেলপমেন্টের কাছে আমাদের যখনই প্রয়োজন হয়, আমরা তাদের দ্বারস্থ হই। ওনারা আমাদের কোচিং স্টাফ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন।

বছর দুয়েক আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও এখনও এলিট ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি টাইগ্রেসদের। তবে বিসিবি বলছে, ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো উন্নতি করে, এই ফরম্যাটে ২০২৫ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগাচ্ছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর