প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে কৃষি ছিল আমাদের খেয়েপরে বাঁচার অন্যতম অবলম্বন। কিন্তু এখন সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। কৃষিপণ্য এখন রফতানি হয়, সেই রফতানি বাড়াতে ও কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করলে সরকার থেকে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না।
বারোমাসি কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন উন্নত বিশ্বের মানুষ মাংস খেতে চায় না, তারা কাঁঠাল খায়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার ও কাবাব হয়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার মাংসের বার্গার বা রোলের চেয়ে দাম বেশি। এই ফলটির কিছু ফেলনা না, সবকিছুই কাজে লাগানো যায়।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহার আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে কৃষি নিয়ে গবেষণায়ও গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন বীজ উদ্ভাবনের ফলে বছরে দুইবার উৎপাদন করতে পারি। পেঁয়াজ সংরক্ষণেও উদ্যোগ নিতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন শুকিয়ে ও গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করা যায়।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে বাইরে যান তাদের আমরা অর্থসহায়তা দিই। মন্ত্রণালয় থেকেও গবেষণার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এসময় বিশ্বমন্দায় যেন দেশে খাদ্য সংকট না হয়, সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কেএস