শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে ভবন বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

  • আপডেট : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫১ Time View

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর ২০টি অফিস, স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হাসপাতাল ভবন আমি পরিদর্শন করবো। দেখবো এখানে ফায়ার সেফটি আছে কিনা? যদি না থাকে, সময় দেব। এই সময়ে যদি ফায়ার সেফটি না থাকে তাহলে ভবনগুলো বন্ধ করে দেব।

তিনি আরো বলেন, বাসায় ডেঙ্গুর লার্ভা থাকলে বা রাস্তায় রড রাখলে থাকলে বা যদি জরিমানা করতে পারি তাহলে ভবনে ফায়ার সেফটি (অগ্নি নিরাপত্তা) না থাকলে কেন জরিমানা করতে পারবো না?

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত ‘৮ম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২২’-এর গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরীর সরু সড়ক বড় করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ছোটখাটো সড়ক বড় হচ্ছে। ২০ ফুট সড়ক হতে হবে না হলে কোনো ধরনের তহবিল দেব না। ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত্রে দেখবেন সবাই ভবন ভাঙছে এবং সড়ক বড় করছে। বড় সড়ক না হলে আমরা তা ঠিক করে দেবো না।

মেয়র আতিক বলেন, আমি বিজিএমইএ-এর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরে রানা প্লাজায় বড় ডিজাস্টার (ভেঙে পড়ে)। আমরা পোশাক কারখানাগুলোকে একটি সিস্টেমের মধ্যে এনেছি। আমরা যখন গার্মেন্টস শুরু করেছি তখন এটা ছিল না। আমরা পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করছি। বিশ্বের ১০টা গ্রিন কারখানার মধ্যে ৮টিই বাংলাদেশে। গার্মেন্টসে যদি ট্রান্সপারেন্সি করতে পারি ঢাকা শহরকে কেন পারবো না। নগরীর নাগরিকদের সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং প্রেভাইড করবে সিটি কর্পোরেশন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, যেভাবে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছি তাতে করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ফায়ার সেফটির জন্য। আমি মনে করি সার্ভিসের সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণ করতে সবাই চাই কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কেউ টাকা খরচ করতে চায় না। নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেমিক্যালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। নেই কোনো আইন। এটা জরুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিনিয়োগ করতে হবে। কারিকুলামে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রশিক্ষণাগার তৈরি করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসাব-এর সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর