বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে যারা শুদ্ধ সংগীতচর্চায় এবং নিজস্ব ধারায় এখনো নিজেকে অধ্যবসায়ে মগ্ন রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম বাপ্পা মজুমদার। যার সুর-সংগীতে কাজ করার স্বপ্ন এ প্রজন্মের অনেক শিল্পীর।
একজন সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে আগামীকাল সিনেমার নতুন একটি গান প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।
প্রদীপ ঘোষ পরিচালিত ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমার প্রথম গান আগামীকাল প্রকাশ পাচ্ছে। গানের শিরোনাম ‘পরাধীনতার শৃঙ্খল’। গানটির কথা লিখেছেন সিনেমার পরিচালক প্রদীপ ঘোষ। গানের সুর-সংগীত করেছেন এবং এতে মূল কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার নিজেই। সহকণ্ঠ হিসেবে আছেন এলিটা করিম, অন্তু, অভিপ্রিয়, হূদয় ও তামিম।
গানটি এবং সিনেমার অডিও সেকশনের পুরোটা কাজ করা প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘যেহেতু পরাধীনতার শৃঙ্খল একটি বিদ্রোহী গান, তাই এতে মূল কণ্ঠ হিসেবে আমার কণ্ঠ থাকার পাশাপাশি আরও সহকণ্ঠ হিসেবে উল্লিখিতরা গেয়েছেন। সিনেমাটিতে শাহান কবন্ধের লেখা আমার সুর করা কনার কণ্ঠেও আরেকটি মৌলিক গান রয়েছে।
এছাড়াও দুটি দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের এবং একটি রবীন্দ্রনাথের গান রয়েছে। আমি বিশেষত বলতে চাই এলিটার কণ্ঠে দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের একটি গানের কথা। এলিটা খুব চমৎকার গেয়েছে। শ্রোতা-দর্শকরা এলিটাকে দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের গানে ভিন্ন আঙ্গিকে খুঁজে পাবেন। এই সিনেমার পূর্ণাঙ্গ অডিও সেকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট আমার স্টুডিওতেই করা। অনেক বড় একটি কাজের মধ্যে আমি সম্পৃক্ত আছি, এটা আমার জন্য সত্যিই ভীষণরকম ভালো লাগার। সিনেমাটি নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী।’
বাপ্পা মজুমদার প্রথম ‘সত্ত্বা’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন। এতে তার সুরে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জেমস ও মমতাজ বেগম। ২০০৫ সালে বাপ্পা মজমুদার প্রথম চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘সুভা’ সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন।
তার গানের অ্যালবামগুলো হচ্ছে ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘ছুটি’, ‘কদিন পরেই ছুটি’, ‘ধুলো পড়া চিঠি’,‘ সূর্যস্নানে চলো’, ‘রাত প্রহরী’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘ফিরে এসো’, ‘হূদয়পুর’ ইত্যাদি। গেলো ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল বাপ্পা মজুমদারের সংগীতজীবনের একক অনন্য অধ্যায়। সেদিন তিনি জীবনের প্রথম একক সংগীত সন্ধ্যায় টানা চার ঘণ্টারও বেশি গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শকের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ান।