আড়াই শ’র মতো ছবি করেছেন শাকিব খান। জনপ্রিয় এ চিত্রতারকার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বলে দেয়, সাধারণত অ্যাকশন ধাঁচের ছবিগুলোর গল্প অনেক সময় ঝুলে যায়! তবে শাকিব জানান, তার আসন্ন ছবি ‘শের খান’ তেমন হবে না। থাকবে শক্তিশালী গল্প। যে গল্পে বুঁদ হতে পারেন দর্শক।
বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানী সানোয়ার পরিচালিত নতুন ছবি ‘শের খান’-এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সুপারস্টার শাকিব খান। বৃহস্পতিবার রাতে চুক্তিবদ্ধ এ ছবির একাংশের প্রযোজক শাকিব নিজেই। সঙ্গে থাকছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম’ বানানো প্রডাকশন হাউজ ‘কপ ক্রিয়েশন’।
মূলত এসকে ফিল্মস ও কপ ক্রিয়েশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘শের খান’, শুটিং শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। মুক্তির পরিকল্পনা ২০২৩ এর যেকোনো উৎসবে!
ছবিটি প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, সানী ভাই এর আগে যে ছবিগুলো বানিয়েছে সবগুলো বড় ক্যানভাসের। নিজের ভালো লাগা থেকে তারই ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির প্রমোশন করেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সানী ভাই যেমন ছবি বানায় আমি সবসময় চাইতাম এমন বড় আয়োজনের ছবি হোক। তিনি এর আগে বাণিজ্যিকভাবে পুলিশি অ্যাকশন ছবি করেছেন, যা দর্শক খুব পছন্দ করেছেন।
এসব কারণে সানী সানোয়ারের উপর আগ থেকেই ভালো লাগা ছিল উল্লেখ করে শাকিব আরও বলেন, ‘শের খান’ এর গল্পটা যখন সানী ভাইয়ের কাছ থেকে শুনছিলাম তখনই ভিউজুয়ালাইজ করছিলাম। চোখে ভাসছিল পিকচারাইজেশন! সেইসঙ্গে গল্পে মানবতার ছাপ দেখছিলাম, খুঁজে পাচ্ছিলাম প্রশাসনিক ব্যাপার, ক্রাইম অপারেশন, থ্রিলার, অ্যাকশন, দেশপ্রেম সবকিছুই। এক কথায় যদি বলি, চমৎকার গল্পে সাজানো ছবি হতে যাচ্ছে ‘শের খান’।
তিনি বলেন, অ্যাকশন বেইজ ছবিগুলো অনেক বড় ক্যানভাস দেখাতে গিয়ে গল্পটা অনেক সময় ফুটে ওঠে না। কিন্তু ‘শের খান’র বিশেষত্ব হচ্ছে শক্তিশালী গল্প। যেমন অ্যাকশন থাকবে, তেমনি মজবুত গল্প থাকছে যা দর্শকদের শেষ পর্যন্ত বসিয়ে রাখতে পারবে। শুধু আমি বা আমার ক্যারেকটার নয়, শের খানের অন্যান্য চরিত্রের জন্য যারা গল্প শুনেছে তারা প্রত্যেকেই মুগ্ধ হয়েছেন। প্রতিটি চরিত্রে সবখানে অভিনয়ের স্কোপ আছে নিজেকে প্রমাণ করার।
‘শের খান’ পরিচালনার পাশাপাশি গল্প, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ করছেন সানী সানোয়ার নিজেই। তিনি বললেন, পুলিশ অ্যাকশনের পাশাপাশি সাসপেন্স, থ্রিল, ড্রামা সবই থাকবে। সেইসঙ্গে ঢাকার বাইরে ঘটে যাওয়া অজানা ক্রাইম প্রেক্ষাপট উঠে আসবে। পুরো সিনেমাতে উন্নত কারিগরী ব্যবস্থা থাকবে।
২০১৭ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন সানী সানোয়ার। তিনি বলেন, শাকিব খানের হিউজ অডিয়ান্সের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল তাকে ভিন্নভাবে স্ক্রিনে তুলে আনার। আমার এনালাইসিস হচ্ছে, তাদের সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য উপযুক্ত সিনেমা হতে পারে ‘শের খান’।
ঘোষণার পর থেকে তুমুল আলোচনা হচ্ছে ‘শের খান’ নিয়ে। বিভিন্নভাবে শাকিবের ভক্তরা ছবিটি কেমন হবে তা নিয়ে নানা মতামত লিখছেন সামাজিক যোগাযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই নায়িকার নাম জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। তবে শাকিব ছাড়া আপাতত অন্য শিল্পী এবং নায়িকার নাম বলতে চাইলেন না পরিচালক। বলেন, চমক হিসেবেই থাকুক। নায়িকা বা অন্যান্য শিল্পীদের নাম জানার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।